Wednesday, September 24, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScroll'৭৮ সালের পর এমন বৃষ্টি দেখিনি', পরিস্থিতি দেখে বললেন ফিরহাদ
Firhad Hakim

‘৭৮ সালের পর এমন বৃষ্টি দেখিনি’, পরিস্থিতি দেখে বললেন ফিরহাদ

জল কখন নামবে? জানিয়ে দিলেন মেয়র

কলকাতা: একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টিতে ‘রুদ্ধ’ কলকাতা (Kolkata Waterlogged)। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই জলমগ্ন। জল সরাতে কার্যত নাজেহাল দশা পুরসভার। বহু গাড়ি জলের নীচে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব রাস্তায় আগে কোনদিন জল জমেনি, সেই রাস্তাও জলের নীচে। এসবের মাঝে চেতলায় জল সরাতে নিজের হাতে রাস্তায় নেমে জঞ্জাল সরাতে দেখা গেল মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। জল বার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। মেয়র বললেন, “৭৮ সালের পর এমন বৃষ্টি দেখিনি।” পাশাপাশি দ্রুত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি।

শহরের একাধিক হাসপাতালে জল ঢুকে গিয়েছে। জলমগ্ন (Kolkata Waterlogged) এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। দুর্গাপুজোর মুখে ভারী বর্ষণের জলমগ্ন অবস্থায় বিব্রত মেয়র। কাকভরে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) কন্ট্রোলরুমে নিজে গিয়ে তদারকিতে বসলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কন্ট্রোল রুম পৌঁছালেন কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পাড়িষদ তারক সিং। ইতিমধ্যেই শহর কলকাতার সমস্ত পাম্পিং স্টেশন কে একটিভ করা রয়েছে। নিচু এলাকায় অতিরিক্ত পাম্প সেট পাঠানো হয়েছে। জোয়ারের কারণে জল বের হতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। পোর্টেবল পাম্প চালিয়ে প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বৃষ্টির রাতভর দাপট কমেনি। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায়, এক রাতের বৃষ্টিতে নাকাল এবং বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা শহর। জনজীবন প্রায় স্তব্ধ। দীর্ঘক্ষণ পুরসভায় ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখান থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। বেলা ১২ টা নাগাদ চেতলায় দেখা যায় তাঁকে। রাস্তার পাশের ছোট নর্দমায় পড়ে থাকা প্লাস্টিক, বোতল নিজের হাতে সরান তিনি।

আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ৭, ‘দায় সিইএসসির’, বললেন মমতা

তিনি বলেন, “আমাদের এই ক্যানালের জল যায় গঙ্গায়। আমি গঙ্গায় গিয়েছিলাম সকালে। প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও জল আসছে, গঙ্গা ভরে রয়েছে। ফলে ক্যানাল থেকে জল গঙ্গায় গেলেও সেটা ফিরে আসছে। সেটাই সব থেকে বড় সমস্যা।”ফিরহাদ বলেন, এমন বৃষ্টি কয়েকবছরে দেখেছেন তাঁর মনে পড়ে না। ৭৮ সালের বন্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, সম্ভবত তার পর আর এত বৃষ্টি হয়নি। তবে কলকাতা পুরসভা পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলার চেষ্টা করছে।

রাতভর বৃষ্টিতে কার্যত জলবন্দি গোটা কলকাতা শহর। সল্টলেক এবং লাগোয়া এলাকা বানভাসি চেহারা নিয়েছে। থৈ থৈ অবস্থা কলকাতার ব্যস্ত রাস্তাগুলির। জল জমেছে কসবা, ভিআইপি বাজার, কাঁকুরগাছি, নিউটাউনসহ বিভিন্ন এলাকায়। জলমগ্ন খিদিরপুর, মোমিনপুর, সার্দান অ্যাভিনিউ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কলকাতা এবং শহরতলিতে রাতভর নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। টানা বর্ষণের জেরে শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Railway Service Disrupted) কাছে রেললাইনে জল জমে গিয়েছে। তার জেরে সকাল থেকে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। লাইনে জল জমে থাকার কারণে চক্ররেলের আপ এবং ডাউন লাইনের পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন পরিষেবা। একই ছবি ধরা পড়েছে হাওড়া ডিভিশনে (Howrah Division Railway Service Disrupted)। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে কার সেটের সামনে দিয়ে হাওড়া স্টেশনের পথে হেঁটে চলেছে।

দেখুন ভিডিও 

YouTube player
Read More

Latest News